মহারাজার দিঘী
অবস্থান: ভীতরগড়, পঞ্চগড় সদর, পঞ্চগড়।
১
হাজার বছরের ঐতিহ্য ভিতরগর দুর্গনগরী বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হেরিটেজ সাইট । চারটি প্রতিরক্ষা দুর্গ প্রাচীরদিয়ে দুর্গ নগরী সুরক্ষিত ছিল এর মধ্যে বাইরের প্রাচীর টি পরিমাপ ৫.৭ x ৪.০৮ কি মি । প্রতিটি প্রাচীরআবার পরিখা দ্বারা পরিবেষ্টিত যা এখনও অনেকাংশে বিদ্যমান । ২৫ বর্গ কি.মি. বিস্তৃত এই দুর্গ নগরীরঅভ্যন্তরে রয়েছে ১০টি দীঘি যার মধ্যে ৫৩ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত মহারাজার দীঘি সর্ববৃহৎ ।
২
মহারাজার দিঘী পঞ্চগড় শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তরে পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন অমরখানাইউনিয়নে অবস্থিত । ‘মহারাজার দিঘী’ একটি বিশালায়তনের জলাশয়। পাড়সহ এর আয়তন প্রায় ৮০০ x৪০০ গজ । পানির গভীরতা প্রায় ৪০ ফুট বলে স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস। পানি অতি স্বচ্ছ । দিঘীতে রয়েছেমোট ১০টি ঘাট। ধারনা করা হয় পৃথু রাজা এই দিঘীটি খনন করেন ।
৩
কথিত আছে পৃথু রাজা পরিবার-পরিজন ও ধনরত্ন সহ ‘কীচক’ নামক এক নিম্ন শ্রেণীর দ্বারা আক্রমণেরশিকার হয়ে তাদের সংস্পর্শে ধর্ম নাশের ভয়ে উক্ত দিঘীতে আত্মহনন করেন। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে উক্তদিঘীর পাড়ে মেলা বসে। উক্ত মেলায় কোন কোন বার ভারতীয় লোকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এই বিশালদিঘীর চারপাশে রয়েছে অনেক গাছগাছালির সবুজের কারুকার্য, স্নিগ্ধ সমীরণ, সৌম্য শান্ত পরিবেশ যা এখনোসবার কাছে বিরল মনে হয়।
১৮০৯ সনে স্যার ফ্রান্সিস বুকানন এই প্রত্নস্থল জরিপ করেন এবং সেখানের অধিবাসীদের কাছ থেকেউপাখ্যানটি জানতে পারেন । হাজার বছর ধরে প্রাকৃতিক কারণে দুর্গ নগরী ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে । এই হেরিটেজসাইট উপযুক্ত ভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রত্ন পর্যটন গন্তব্য হিসেবে সারা বিশ্বেরকাছে তুলে দিতে পারবো ।
কিভাবে যাবেন :
পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হতে তেঁতুলিয়াগামী বাসযোগে বোর্ড অফিস নামক স্থান হয়ে ভ্যান যোগেপূর্বদিকে ০৫ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন :
পঞ্চগড় শহরে থাকার জন্য মোটামুটি মানের হোটেল আছে। এরকম দুটি হোটেল হলো শহরের তেঁতুলিয়া রোডেহোটেল মৌচাক। এ হোটেলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও সাধারণ ডবল ও সিঙ্গেল কক্ষ আছে। শহরের সিনেমা হলরোডে আছে সেন্ট্রাল গেস্ট হাউস। এছাড়াও বিভিন্ন মানের হোটেল এবং গেষ্ট হাউস পাবেন।
তথ্য সূত্র: পঞ্চগড় জেলা ওয়েবসাইট, গুগল
ছবি ঃ Zoha Photography